আগামী ২২ জুন মহাসমাবেশে তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৩ জুন থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। গতকাল শনিবার দুপুরে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত ন্যায্য অধিকার আদায়সহ তিন দফা দাবিতে খুলনা বিভাগীয় শিক্ষক সমিতি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে আছে, জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিগত সরকারের সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে টাইম স্কেলসংক্রান্ত অবৈধ চিঠি প্রত্যাহার, ৫০ শতাংশ অর্থাৎ কার্যকর চাকরির সময়সীমার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা দেওয়া ও বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের গেজেট প্রকাশ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০ সালের ১২ আগস্ট যে টাইম স্কেল–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, তা ছিল অবৈধ ও বিভ্রান্তিকর। এই চিঠি প্রত্যাহার করে যথাযথ জ্যেষ্ঠতা দেওয়া ও বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকের শিক্ষক গেজেট প্রকাশ করাই এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য।
আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা এ সংক্রান্ত মামলা করে রায় আমাদের পক্ষে পেয়েছি। কিন্তু বিগত সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। আপিল চলমান। বারবার আবেদন করে স্মারকলিপি দিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও সমস্যাগুলোর সমাধান পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ২২ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষক অংশগ্রহণ করবেন। শিক্ষকদের সম্মান ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত না হলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নও সম্ভব নয়। আপনারা ঢাকায় যাওয়ার সময় প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। আমাদের দাবি না মানলে সমাবেশের পরদিন ২৩ জুন থেকে আমরণ অনশনে যাবেন শিক্ষকেরা। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ আজমল হোসেন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ আলী, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ও যশোর জেলা কমিটির সমন্বয়ক বিএম কিয়াম উদ্দীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম।