২০১৮-১৯ সেশনের এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের সাপ্লিমেন্ট প্রফেশনাল পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অফিসে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে ২০০-এর বেশি শিক্ষার্থী বিএমডিসি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিএমডিসি প্রেসিডেন্ট না আসা পর্যন্ত চলবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা জানি, আমাদের বৈষম্যহীন দেশ পেয়েছিলাম ৫ আগস্ট। পুরো দেশ সংস্থার হলেও, সংস্কার হয়নি মেডিকেল সেক্টর, বিএমডিসি। একের পর এক স্বৈরাচারী মনোভাব, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ১৮-১৯ ব্যাচ। আমরা বৈষম্যের স্বীকার। আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি বছরের পর বছর। সাপ্লিমেন্ট আমাদের অধিকার সেই, অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমাদের ব্যাচমেট থেকে আলাদা করা হয়েছে, জীবন থেকে দেড় বছর কেড়ে নেয়া হচ্ছে। আরেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা গত নভেম্বরে তাদের প্রফেশনাল পরীক্ষা দিয়েছে। যারা ফেল করছে বা নানান কারণে পরীক্ষায় বসতে পারেনি, তাদের সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষা হওয়ার কথা ৬ মাসের গ্যাপে। অর্থাৎ পরের প্রফেশনাল এক্সামের আগেই সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষাটা হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। সময় চলে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা মে মাসে ফাইনাল প্রফেশনাল এক্সাম দেবে। পূর্বের ব্যাচকেও তাদের সঙ্গেই পরীক্ষা দিতে বলছে কর্তৃপক্ষ। এতেই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। কারণ তাদের জুনিয়রদের সঙ্গে ইন্টার্ন করতে হবে। জীবন থেকে একটা বছর চলে যাবে। তিনি বলেন, এই সমস্যাটি শুধু ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিনের অনীহার কারণে এই সমস্যাটি হচ্ছে। অথচ রাজ্বশাহী এই পরীক্ষা নিয়েছে। সিলেটও নেবে, রুটিন দিয়েছে। চট্টগ্রামে হবে। শুধু ঢাকায় হচ্ছে না। তবে বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তারা যেটা চাইছে, সেটা আইনে নাই।’ তাহলে সমাধান কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার থেকে যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা তাই করব।’