রংপুরের জিআই পণ্যখ্যাত ‘হাঁড়িভাঙ্গা’ আম বাজারে আসতে শুরু করেছে। রংপুরের মিঠাপুকুরে হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসন ও মিঠাপুকুর কৃষি অফিসের আয়োজনে পদাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে খোড়াগাছ মন্ডলপাড়া গ্রামে আইয়ুব আলীর বাগানে আম ছিঁড়ে হাঁড়িভাঙ্গা আম বাজারজাতকরণের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে রংপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।
এতে সভাপতিত্ব করেন, সহকারী কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুলতামিস বিল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম আমাদের রংপুরের গর্ব। জিআই পণ্য হিসেবে হাঁড়িভাঙ্গা আম সরকারীভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ অঞ্চলের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আম নিয়ে গবেষণা চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে হাঁড়িভাঙ্গা আম বাজারজাত না করতে আমচাষিদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিতি ছিলেন- রংপুর জেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান রানা, নাজমুল হক (ইমন)।
স্বাগত বক্তব্যে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন জানান, এবারে মিঠাপুকুরে ১৩০০ হেক্টরজমিতে আম রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬০০০ মেট্রিক টন, যাহার আনুমানিক মূল্য প্রাশ, ১৫০ কোটি টাকা। আম সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য আমচাষিরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে রংপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়ক, সিটি বাজার, লালবাগ, মডার্ন মোড়, ধাপ বাজার, শাপলা চত্বরসহ নগরীর বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে এই আম। হাট-বাজার ছাড়াও পাড়ামহল্লার অলিগলিতে ফেরি করে হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও শুরুতেই ৫০-৭০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করছে বিক্রেতারা।