পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তেগাছিয়া খেয়াঘাট থেকে তুলাতলী চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কটির ৭০ শতাংশ সিলকোট উঠে গেছে। একাকার হয়ে গেছে খানাখন্দে। যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, অটোবাইক, টমটমসহ সব যানাবাহন চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ,বৃদ্ধ ও রোগীদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে সড়কটির এমন অবস্থা। বছরের পর বছর ধরে সড়কটির বিধ্বস্তদশায় অন্তত ২২ গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ। তারা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সড়কটি প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ। তেগাছিয়া, আজিমদ্দিন, মেলাপাড়া, পুর্ব মধুখালী, পশ্চিম মধুখালী, গোলবুনিয়া, সাফাখালী, ইসলামপুরসহ অন্তত ২২ গ্রামের মানুষ এ সড়ক পথে চলাচল করছেন। প্রায় চার বছর ধরে সড়কটিতে খানাখন্দ শুরু হয়। বর্তমানে সড়কটির প্রায় ৭০ শতাংশ সিলকোট উঠে গেছে। শুকনো মৌসুমে লাল একাকার থাকে ধূলায়। আর বর্ষায় কাঁদাপানি জমে যায়। যানবাহনে চলাচলে লাগে প্রচণ্ড ঝাকুনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সোবাহান বলেন, অটো-ভ্যানে উঠলে মাজা-কোমর ব্যথা হয়ে যায়। এই রাস্তাটি মেরামত না করায় ভোগান্তি আরও বাড়বে।
ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক মাইনুদ্দিন জানান, যাত্রী নিয়ে গাড়ি টানা যায় না। তাদের ভাষ্য মতে পূর্বমধুখালী থেকে তেগাছিয়া পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল জানান, তিনি এই সড়কটি মেরামতের জন্য উপজেলা পরিষদের মিটিংএ বহুবার বলা হয়েছে। এলজিইডি কলাপাড়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল হোসেন জানান, বালিয়াতলী, কলাপাড়া, টিয়াখালী, ধানখালীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ৩০ কিলোমিটার সড়ক এরইমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া খেয়াঘাট থেকে তুলাতলী পর্যন্ত ওই সড়কটিও সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।