ফেনীর সোনাগাজীতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ধসে পড়েছে একাধিক সড়ক। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ। এছাড়াও বৃষ্টি ও নদীর জোয়ারের পানির তোড়ে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বসতবাড়ি। ফলে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। গত বছরের বন্যায় মুছাপুর রেগুলেটর বিলীনে নদীগুলো হারিয়েছে স্বাভাবিক গতিপথ। এতে সরাসরি জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নবাবপুরের মজুপুর গ্রামে কালিদাস পাহালিয়া নদীর পাড়ে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে, একই ইউনিয়নের নবাবপুর থেকে কসকাগামী কালীদাস পাহালিয়া নদীর উপর চলাচলের একমাত্র সেতুটির দক্ষিণ পাশ ভাঙ্গনের কবলে পতিত হয়ে প্রায় ২ ফুটের অধিক ধসে যাওয়ায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
একইসঙ্গে বড় ফেনী নদীর তীব্র ভাঙনের ফলে মিরসরাই ইকোনমিক জোন থেকে সোনাগাজী পর্যন্ত এলজিইডির অর্থায়নে (বেজা) নির্মাণাধীন সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ নদীর (সোনাগাজী) অংশে ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে। গতকাল সোমবার এলজিইডি ও বেজা কর্তৃপক্ষ ইকোনমিক জোনের ফেনী নদীর ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শনে করেন। সরেজমিন আরও দেখা যায়, চরদরবেশ ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাজারের বদর মোকাররম খালের পাশে পাকা সড়ক ধসে যাওয়াতে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। চরছান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামে রাস্তা ভেঙে খালে পতিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের একাধিক স্থান ধসে পড়েছে। এতে যানচলাচল ব্যাহত হয়ে মানুষজন বিপাকে পড়েছে। এছাড়াও সাহেবের ঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ছোট ফেনী নদীর তীরবর্তী গ্রামে নদী ভাঙনের আগ্রাসীরূপে ফসলি জমিসহ ভাঙছে নদীর পাড়।
সোনাগাজী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, নদী ভাঙনে সোনাগাজীর বহু জায়গায় সড়ক ধসে পড়ার ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ করছে। সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করতে এরইমধ্যে মেরামত করা শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার গ্রহণ করতে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। ফেনী নদীর ভাঙন কবলিত স্থানে এলজিইডির অর্থায়নে ৬ হাজার জিও ব্যাগ ড্রাম্পিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।