
বান্দরবানের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা সহোদর এবং একজন স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। গতকাল শনিবার সকালে বান্দরবান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আবদুর রহমান। গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (ক্যাম্প-১ ইস্ট) বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ, তার ভাই আলী জোহার এবং কুতুপালং পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আবুল হাশেম (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জাল নোটের কারবার করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ওয়াচ্ছাখালী এলাকার নূরুল ইসলামের দোকানের সামনে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জাল টাকা হাতবদলের সময় চক্রের ওই তিন সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মো. আবদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তাররা সীমান্ত অঞ্চলকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে জাল টাকা সংগ্রহ ও বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছিল। তাদের কার্যক্রমে স্থানীয় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছিল। উদ্ধার জাল নোটের পরিমাণ এতটাই বেশি যে এটি একটি সুসংগঠিত নেটওয়ার্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছে, তারা শুধু বাহক নয়, বরং জাল নোট সরবরাহ ও বিতরণের মূল চেইনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। মামলাটির তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জাল টাকাগুলো কোথায় ছাপানো হচ্ছে; দেশের ভেতরে নাকি বিদেশে। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।