মিজানুর রহমান আজহারীর বয়ান শুনতে জনতার ঢল নামে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে। এতে নগরজুড়ে জনস্রোত সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এই দৃশ্য। গত শুক্রবার রাত থেকেই সার্কিট হাউজ মাঠে অবস্থান নেয় ধর্মপ্রাণ মানুষ। এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দলে দলে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। ফলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠের বেশিরভাগ অংশে মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আল ইসলাম ট্রাস্ট আয়োজিত এই তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মো. নূরুল ইসলাম। এসময় জামায়াত নেতা আসাদুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, মাওলানা মোজাম্মেল হক প্রমুখ। গতকাল বেলা ১টা ৫৬ মিনিটে তিনি কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করেন। এসময় আয়োজক কমিটি আল ইসলাম ট্রাস্ট এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। একই সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এই ইসলামী স্কলারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার। এরপর বেলা সোয়া ২টায় তিনি বয়ান শুরু করে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আজকে এই মঞ্চে বিএনপির প্রিন্স ভাই জেলা বিএনপির পুরো টিম নিয়ে এসেছেন। জামায়াতের আকন্দ ভাই এসেছেন। বৈষম্যবিরোধীরাও এসেছে। এতে বোঝা যায় পুরো বাংলাদেশ আজকের এই মঞ্চে। এটা অনেক সুন্দর।
এর আগে বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আমন্ত্রিত মুফাসসির হিসাবে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার আলোচক শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের খতিব মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও কুমিল্লার মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার। উল্লেখ্য, সার্কিট হাউজ মাঠ, জিলা স্কুল মাঠ, গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠসহ উমেদ আলী মাঠ সকাল থেকে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়াও জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে শুধু নারীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়।
এ সময় সার্কিট হাউজ মাঠসহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টের ২২টি স্থানে বড় পর্দার প্রচার করা হয়েছে এই মাহফিলের বয়ান। এছাড়াও এই সমাগমকে কেন্দ্র করে ৩টি মেডিকেল ক্যাম্প, ৪ শতাধিক ওজুখানা ও ওয়াশরুম এবং পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আজাহারির বক্তৃতা প্রচারের জন্য ২ শতাধিক মাইক লাগানো হয় অনুষ্ঠানস্থলসহ আশপাশের এলাকায়।