তুরস্কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দি নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তার সংগঠনের সদস্যদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। সংগঠনটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা এবং তুর্কি সরকারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সংঘাতের ইতি টানারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের কাছে একটি দ্বীপ এলাকার কারাগারে বন্দী আছেন পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওজালান। গত বৃহস্পতিবার তুর্কিয়ের কুর্দিপন্থি ডিইএম পার্টির একটি প্রতিনিধিদল কারাগারটি পরিদর্শন করে। এরপর ওজালান তাঁর সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমি এই আহ্বানের ঐতিহাসিক দায় নিচ্ছি।’
বিবৃতিতে ওজালান আরো বলেন, ‘আপনারা (দলের) সম্মেলন করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। সংগঠনের সবাইকে অবশ্যই অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। পিকেকেকে অবশ্যই নিজেদের বিলুপ্ত করতে হবে।’ তুরস্কের সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা পিকেকেকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে থাকে। ওজালানের এই পদক্ষেপের বিষয়ে ক্ষমতাসীন একে পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইফকান আলা বলেন, পিকেকে যদি অস্ত্র সমর্পণ করে এবং নিজেদের বিলুপ্ত করে, তবে দেশ ‘শিকল থেকে মুক্ত’ হবে। আলার মন্তব্যটি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এ-সংক্রান্ত প্রথম প্রতিক্রিয়া।
আলা বলেন, সরকার আশা করছে, পিকেকে ওজালানের আহ্বান মেনে চলবে। ইস্তাম্বুল থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি সিনেম কোসেওগ্লু বলেছেন, ওজালানের চিঠিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। কারণ, এবারই প্রথম পিকেকেকে বিলুপ্ত করতে বলেছেন ওজালান। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের রাজনীতিতে ডিইএম পার্টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয় উঠবে বলে মনে করেন কোসেওগ্লু।