কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারার মুখে আজ বৃহত্তর চট্টগ্রামে আমদানিকারক, মিল মালিক, পাইকারি ডিলার ও খুচরা পর্যায়সহ তিন স্তরে ভোজ্য তেলের (খোলা) মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আমদানিকারকরা ১৫৩ টাকা, পাইকারি ও ডিলার পর্যায়ে ১৫৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকা প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে কোন মূল্য আপাতত, নির্ধারণ করা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেল এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং বিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম যৌথভাবে এ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে সংশ্লিস্ট সবাইকে এ মূল্যহার মেনে চলার নির্দেশনা ও অন্যথায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সভায় ব্যবসায়ী গ্রুপ টিকে ও সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা, পাইকারি বিক্রেতা ডিলার এবং ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত সোমবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকটে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যান সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। পরিদর্শনে গিয়ে ‘ভোজ্যতেল উধাও’র সত্যতা পেয়ে তেলের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ীদের বৈঠকে ডাকেন তারা দুজন। গতকাল ওই বৈঠকে সবার মতামতের ভিত্তিতে আমদানিকারক থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত খোলা তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানিকারকরা ১৫৩ টাকা, পাইকারি ও ডিলার পর্যায়ে ১৫৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকা প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করবে যা গতকাল থেকে কার্যকর হয় এবং আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যেকোনো পর্যায়ে কেউ যদি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি। জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, সিএমপির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. জাফর আলম, সিটি গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আবদুল কাউয়ুম, ইঞ্জিনিয়ার মুনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু বক্কর, সহ-অর্থ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল্লাহ, সদস্য মো. রাশেদ পারভেজ, সিনিয়র কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি, ক্যাবের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাবের যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।