গত তিন বছর ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প করছে জাতীয় ফুটবল দল। পাশাপাশি অনুশীলন বিরতিতে করে থাকে ওমরাহ। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। গতকাল সোমবার অনুশীলন ছিল জামালদের। সেই সুযোগে ওমরাহ পালনে মদিনা থেকে মক্কায় যান ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টের মুসলিম কর্মকর্তারা। ওমরাহ পালনে মক্কা যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান। বাফুফের পাঠানো ভিডিওবার্তায় আমের খান বলেন, ‘আমাদের বিরতি ছিল আজকে, সেই বিরতিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি দলের মধ্যে একতা বৃদ্ধিতে আমরা উমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেই। এমন একটি পবিত্র স্থানে এসে ওমরাহ করতে না পারলে হয়তো খারাপ লাগত। হুট করেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ জামাল ভূঁইয়া বললেন, ‘গত ২-৩ বছর আমরা সৌদিতে অনুশীলন ক্যাম্প করেছি। প্রতিবারই আমরা ওমরাহ পালন করেছি। সবাই একসঙ্গে ওমরা করতে পারাটা দলের জন্য ইতিবাচক, দলের জন্যও ভালো। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, সবাই সুস্থ আছে।’ ওমরাহ পালনের ফলে দলের মনোযোগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন ডিফেন্ডার রহমত মিঁয়া, ‘আমি আগেও ফুটবল দলের সঙ্গে দুবার ওমরাহ করার সুযোগ পেয়েছি। এবার হলো তৃতীয়বার। এটা সব মুসলমানের জন্য শান্তির জায়গা। সৌদিতে আসার সুযোগে ওমরাহ করতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের। সবাই এখানে আসার জন্য উদগ্রীব থাকে। এটি আমাদের মনোযোগ বেড়ে যাবে।’
সুদানের বিপক্ষে সৌদি আরবে প্রীতি ম্যাচটি খেলা হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। তারপরও অনুশীলনে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন ফুটবলাররা। ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখেই সৌদি আরবে ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ দল। ভারতের বিপক্ষে ৩০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড দিয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সেই স্কোয়াডের ২৮ জন ফুটবলার ঢাকায় ক্যাম্প শুরু করেন। ইতালিয়ান প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম সোমবার সৌদি সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জেদ্দায় পৌঁছাান। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা লিয়াজোঁ অফিসার ফাহমিদুলকে জেদ্দা থেকে তায়েফের হোটেলে নিয়ে যান। জামালরা দেশে ফিরবেন ১৭ মার্চ।