ঢাকা রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দ্বিতীয় দিনেও শীর্ষে বিকেএসপি

ডাইভিংয়ে নতুন রেকর্ড মেহেদীর

ডাইভিংয়ে নতুন রেকর্ড মেহেদীর

জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে আগের দিন নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন বিকেএসপির মাইশা আক্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার আরেকটি নতুন রেকর্ড হয়েছে ডাইভিংয়ে। এই রেকর্ডের মালিকও বিকেএসপির ছাত্র মেহেদী হাসান। এক মিটার স্প্রিং বোর্ড ডাইভিংয়ে ৩০০.৬ পয়েন্ট নিয়ে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। ১০০ মিটার স্প্রিং বোর্ড ডাইভিংয়ে ৩০০ দশমিক ৬ পয়েন্ট স্কোর করে রেকর্ড গড়েন মেহেদী। গত বছর ২৭৫.৮৫ পয়েন্ট নিয়ে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন একই সংস্থার মোহাম্মদ হোসাইন। ২৭২ দশমিক ৬ পয়েন্ট স্কোর করে রৌপ্য জিতেছেন বিকেএসপির তারিন।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৩৪টি পদক তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। দ্বিতীয় দিন শেষে বিকেএসপি ৩৪টি স্বর্ণ, ৩৫টি রৌপ্য ও ১৪টি ব্রোঞ্জ পেয়ে পদক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। শিলাইদাহ সুইমিং ক্লাব দুটি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে এবং বগুড়া সুইমিং ক্লাব দুটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য ও তিনটি ব্রোঞ্জ পেয়ে পদক তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সাঁতারের নিয়ম অনুসারে সাধারণত ফিনিশিং টাচ ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট স্ট্রোক ও বাটারফ্লাই ইভেন্টে টাচ প্যাড দুই হাতেই স্পর্শ করতে হবে। কিন্তু নাদিমুল হক সব সময় দুই হাত সমানভাবে টাচ প্যাডে লাগাতেই পারেন না। কীভাবে পারবেন? নাজমুলের যে বাঁ হাতের চারটা আঙুলই নেই! সাঁতারে মাইক্রো সেকেন্ডে যেখানে পদকের নিষ্পত্তি হয় সেখানে অন্যরা দ্রুত দুই হাত সাবলীলভাবে টাচ প্যাডে লাগালেও নাদিমুলকে নিয়মটা মানতে একটু হলেও সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু তাই বলে অন্য অনেক স্বাভাবিক সাঁতারুদের চেয়ে পেছনে পড়ে থাকেন না। বরং মিরপুরের চলমান ৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার পুল মাতিয়ে চলেছেন নাদিমুল। দুই দিনে এ পর্যন্ত চারটি ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন কিশোরগঞ্জের নিকলীর যুবক। তিনি অংশ নিচ্ছেন শিলাইদহ সুইমিং ক্লাবের হয়ে। এবারের সাঁতার প্রতিযোগিতায় সবক’টি ইভেন্টে পদক জিতেছেন। ৪টির মধ্যে ৩টিতে জিতেছেন রুপা। একটি ব্রোঞ্জ।

গত বুধবার প্রথম দিনে ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক ও ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে জিতেছেন রুপা। গতকালও পানিতে নেমে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন নাদিমুল। ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে জেতেন রুপা। ১৫০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে জেতেন ব্রোঞ্জ। পদকের রংগুলো সহজেই বদলে রুপা থেকে সোনা করে নিতে পারতেন। কিন্তু নিকলি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র নাদিমুল সাঁতারের জন্য এবার খুব বেশি সময় অনুশীলন করতে পারেননি। যে কারণে নিজের টাইমিং নিয়েও খুব বেশি সন্তুষ্ট নন তিনি। সাঁতার পুলের পাশে দাঁড়িয়ে নাদিমুল আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘আমি আসলে উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার জন্য সেভাবে অনুশীলন করতে পারিনি। সোনার সম্ভাবনা জাগিয়েও মাইক্রো সেকেন্ডের জন্য হয়নি। তা না হলে সবক’টি ইভেন্টে সোনা জিততে পারতাম।’ ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত সাঁতারে অংশ নেন নাদিমুল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত