কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার মহাখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উম্মে হাবিবা জুই। জানাগেছে, উপজেলার রসুলপুর, শিমুলকান্দি, মধ্যচর, গোছামারা এবং পৌর শহরের দড়ি চণ্ডিবের, চণ্ডিবের, আমলাপাড়া ও ভৈরবপুর এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। দুপুরের পর থেকে কুকুরের কামড়ে আহত রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভিড় করেন।
মধ্যেরচর গ্রামের নাহিদ নামের এক শিশুর মা আকলিমা বেগম জানান, বিকালে তার ছেলে বাড়ির পাশে খেলাধুলা শেষ করে ফেরার পথে কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেকজন নাহিদকে বাঁচাতে গেলে দুজনকেই কামড় দেয়। পরে দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এছাড়াও পৌর শহরের চন্ডিবের গ্রামের আব্দুল কাদির মিয়া জানান, সড়কে চলার পথে পাগলা কুকুর যাকে পাচ্ছে, তাকেই কামড়ে দিচ্ছে। গত কয়েক দিন আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি মানুষজনকে ভাবিয়ে তুলছে। এদিকে হাসপাতালে সরকারি ভাবে জলাতঙ্ক ভ্যকসিন না থাকায় আহত রোগীরা পড়েন বিপাকে। ফলে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে চড়া দামে ভ্যকসিন কিনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, কয়েক দিন পর পর এমন ঘটনা সত্যিই ভাবনা বিষয়। তাই, আমরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রসাশনের সঙ্গে করণীয় নিয়ে কথা বলেছি। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ে ভ্যকসিন বরাদ্দ না থাকায় বাইরে থেকে রোগীর স্বজনদের ভ্যকসিন কিনতে হচ্ছে। তবে, জেলাতে চাহিদা পাঠানো হবে, যে ভৈরব উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, পাগলা কুকুরটিকে শনাক্ত করে ভ্যকসিনেশন করতে পারলে সব থেকে সুবিধা হতো।