বগুড়ায় বেকারি এন্ড কনফেকশনারি সেক্টরে কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মাঝে নতুন করে উৎপাদিত পণ্যের উপর ১৫% ভ্যাট আরোপের ফলে দেশের অনেক বেকারি কারখানা বন্ধের মুখে পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বেকারি মালিক সমিতি পূর্বের ভ্যাট বহাল রাখার দাবিতে সভার আয়োজন করে। এতে বেকারি শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ও মালিকরা অংশগ্রহণ করেন। বেকারি মালিকরা বলেন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং নতুন ভ্যাটের চাপ তাদের ব্যবসা পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বেকারি শিল্প দেশের খাদ্য সরবরাহ ও কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। তাই এই শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন উক্তরবঙ্গ বেকারি এন্ড কনফেনশনারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী। সংগঠনের সভাপতি হাসান আলী আলাল এর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার বেকারি মালিক সমিতির অফিসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই সেক্টর ধ্বংস হলে অনেক মানুষ বেকার হবে, সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ঘাটতির সৃষ্টি হবে।
কেননা এই সেক্টরে অনেক পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হয়। আমরা সবসময় সরকারের সব আইনকানুন মেনে নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা করে থাকি। তিনি আরো বলেন, জ্বালানি গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে ময়দা, পাউডার দুধ, চিনি, তৈলসহ বিভিন্ন কাঁচামালের অব্যাহতভাবে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নাভিশ্বাস উঠেছে। এরই মধ্যে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে, আরো অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ বা তারও নিচে নিয়ে এসে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে ফ্যাক্টরি বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকবে না। মিষ্টি ও বেকারি পণ্যে ভ্যাট বাড়ালে নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তরা বেশি ভোগান্তির শিকার হবে।
