নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) অর্থাৎ পিডাব্লিউ অফিসের স্টোর থেকে রাতের আধারে রেললাইন পাচারের ঘটনায় অফিস ইনচার্জ সুলতান মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। এ সংক্রান্ত সংবাদ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশের পর তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বেলা তিনটায় তাকে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার দোষ স্বীকার করেছেন। পিডাব্লিউ অফিসের স্টোরে ও ইয়ার্ডে রক্ষিত রেললাইন গ্যাস দিয়ে কেটে বিক্রি করেছেন। যা গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দুইটি পিকআপ যোগে পাচার করা হয়। এ সংক্রান্ত খবর পেয়ে সকাল ১০টায় সাংবাদিক জাকির হোসেন ও শাহজাহান আলী ঘটনাস্থলে গেলে তথ্যের সত্যতা পায়। তারা তাৎক্ষণিক বিষয়টি রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তথা পশ্চিামাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী আহসান জাবির ও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদকে অবগত করেন এবং তাদের মন্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। যা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তে নামে এবং আলামত পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এতে সুলতান মৃধা ঘটনা স্বীকার করেন। তবে ক্রয়কারীরা পাচারকৃত মালামালগুলো কোথায় নিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না বলে কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছেন।
সেইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের বিষয়েও তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় এই মামলা করা হবে। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) তহিদুল ইসলাম বলেন, পিডাব্লিউ এর স্টোর থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার ও কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এখান থেকে বিপুল পরিমাণ রেললাইন গ্যাস দিয়ে কেটে পাচার করা হয়েছে। যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় পিডাব্লিউ ইনচার্জ সুলতান মৃধা স্বীকার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ও বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে তাকে রেলওয়ে পুলিশের কাজে হস্তান্তর করা হয়েছে।