
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, গ্রাম আদালত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিচার প্রার্থী জনগণের বিচার প্রাপ্তির ব্যবস্থাকে যেমন সহজলভ্য করেছে, তেমনিভাবে খরচও কমিয়েছে। তাই গ্রাম আদালতকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার ?মো. তোফায়েল আহাম্মদ। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, পাবলিক হেলথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ খালেদুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ জেএম রেজাউল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছবাব মিয়া, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একে আজাদ ভূঁইয়া, জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষক আলমগীর কবির প্রমুখ।
সভার শুরুতেই গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন সুনামগঞ্জ গ্রাম আদালত প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার নির্মল রায়। সভায় জানানো হয়, জুলাই মাসে সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলায় ১৯৫টি মামলা গ্রাম আদালতে গ্রহণ করা হয়। যারমধ্যে ১৭৮টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যা দায়েরকৃত মামলার ৯১ শতাংশ।