ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত

আহত পাঁচ
জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত

জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চাঁন মিয়া (৬৫) শিক্ষার্থী আরিফ খাতুন পলি (২৮), রাশেদ মিয়া (৩০) ও অজ্ঞাত নামের একজনসহ চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরশ নামে এক শিশুসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চাঁন মিয়া, সরিষাবাড়ি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে রাশেদ মিয়া ও একই ইউনিয়নের উচ্চগ্রাম এলাকার শরিফ আহাম্মেদের স্ত্রী। তিনি জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়াও এই দুর্ঘটনায় এক নারী মারা গেছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা হলেন, সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকার চানু মিয়ার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম, একই উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের তয়েজ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, দিগপাইত এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে সাদিকা আক্তার, একই এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম ও সরিষাবাড়ি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের শরিফ আহাম্মেদেও ছেলে আরশ। আহত শিশু আরশ নিহত আরিফা খাতুন পলির ছেলে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু আরশ, সাদিকা আক্তার, সন্ধ্যা নামের তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, জামালপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইলগামী কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে জামালপুর শহরগামী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় রাশেদ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর গুরুতর আহত চাঁন মিয়া, আরিফা খাতুন পলি, সন্ধ্যা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, সাদিকা আক্তার, ফারজানা বেগম ও শিশু আরশ আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক গুরুতর আহত আরিফা খাতুন পলিকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে আহত চাঁন মিয়াকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলম ও ফারজানা বেগম জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর আহত শিশু আরশ, সাদিকা আক্তার, সন্ধ্যা অবস্থা সঙ্কাটাপন্ন দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছে। তাদের মধ্যে এক নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত