ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে তিতাসের অভিযান

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে তিতাসের অভিযান

গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের লক্ষ্যে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন ডেমরা, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান, ময়মনসিংহ, মেঘনাঘাট ও নরসিংদী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নেতৃত্বে এবং কোম্পানির জনবল দ্বারা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে চলমান নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোনিতা দাস-এর নেতৃত্বে ও তিতাস গ্যাসের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মিজমিজি এলাকায় দিনব্যাপী একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ৪টি কয়েল তৈরির কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় মুদি কয়েল ফ্যাক্টরিতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারখানা মালিকপক্ষকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। একই ভাবে ধনু হাজি রোড মসজিদ গলিতে নাজ কিং ও আসমানি সুপার গোল্ড নামক কয়েল কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ কারখানায়ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই রোডে অবস্থিত ব্ল্যাক কিলার কোয়েল ফ্যাক্টরি নামক প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ১/২" ব্যাসের ৫০ ফিট, ৩/৪" ব্যাসের ৩০ ফিট ও ১০০ ফিট লম্বা হোস পাইপ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে সোনারগাঁও-এর মিরেরটেক ও হাতুড়িপাড়া এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অন্য একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরিচালিত এ অভিযানে মিরেরটেক এলাকায় ০২টি এবং হাতুড়াপাড়ায় ০২টি স্পটে ২” ডায়া বিশিষ্ট ০২ টি এবং ০২ টি ১" ডায়া বিশিষ্ট অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে চারটি স্পটে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বিতরণ লাইন ও ৩০০টি বাড়ির ৮০০টি অবৈধ আবাসিক চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ২" ডায়া বিশিষ্ট ৩০ ফুট, ১" ডায়া বিশিষ্ট ৭০ ফুট এমএস পাইপের সম্পূর্ণ অংশ এক্সকাভেটরের মাধ্যমে অপসারণ করে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং ও ক্যাপিং করা হয়েছে। এছাড়াও জোবিঅ-কিশোরগঞ্জ, আবিবি-ভালুকা ০৩টি অবৈধ আবাসিক সংযোগ ও ইরিবাস প্লাস্টিক এবং ওরিয়েন্টাল ওয়াসিং নামের ২টি অবৈধ বাণিজ্যিক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইরিবাস প্লাস্টিক, মাসিক লোড: ২০৭৮২৬ ঘ.মি। মিটার টেম্পারিং করে গ্যাস চুরির অপরাধে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে মাসিক আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে। ১টি বয়লার, আনুমানিক ক্ষমতা ৫০০ কেজি/ঘণ্টা হিসাবে মাসিক লোড ১৪,১৩৬ ঘ.মি.। বিতরণ লাইন হতে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে গ্যাস চুরির অপরাধে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে মাসিক আনুমানিক ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১৬৭টি শিল্প, ৯৬টি বাণিজ্যিক ও ২০,৮১১টি আবাসিকসহ মোট ২১,০৭৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৪৮,৫৭২টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। উক্ত অভিযানসমূহে ১০৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত