১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষা করে সনদপত্র ও মৌলিক কাগজপত্র ঠিক থাকা সব প্রার্থীকে পাস করানোসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ভবনের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রত্যাশীরা। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চাকরি প্রত্যাশী শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের ২০ হাজার চাকরি প্রত্যাশীর মাধ্যমে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। তার অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটি এনটিআরসি ভবনের সামনে হবে সকাল ৮টায়। একইসঙ্গে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা গত ১৫ তারিখ থেকে লাগাতার আন্দোলন করছি। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি নাই। আমরা চাই আমাদের প্রতিনিধি দলসহ তার সঙ্গে দেখা করতে। এর আগে লিখিত বক্তব্যে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন আরেক চাকরি প্রত্যাশী সোনিয়া আক্তার।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- যেহেতু এনটিআরসিএর বিধিমালায় ভাইভার মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ পেলেই পাসের কথা বলা হয়েছে। তাই যাদের সনদপত্র ও প্রশ্নোত্তরের নম্বর মিলে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি আছে তাদের সবাইকে পাস করিয়ে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; যেহেতু লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই সনদপত্র প্রদান করা হয় আর ভাইভা অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী যেহেতু লিখিত অংশে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাই তাদের সকলকেই ই-সনদ প্রদান করা হোক; যেহেতু এনটিআরসিএ লিখিত পরীক্ষায় নিজেদের করা ‘প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন’ বহির্ভূত বিকল্প প্রশ্নবিহীন প্রশ্নপত্রে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে এবং সে লিখিত পরীক্ষায় আমরা পাস করে এসেছি এবং আমাদের বেশিরভাগেরই ভাইভার সনদপত্রে ১২ নম্বর রয়েছে তাই মানবিক বিবেচনায় হলেও পাস করানো হোক এবং ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞাপ্তির সকল কার্যক্রমে আমাদেরকেও লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকায় যুক্ত করে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। সোনিয়া আক্তার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই চরম বৈষম্যমূলক ফলাফল অবিলম্বে সংশোধন করে আমাদের পাস করানো হোক।