ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুই প্রকল্প অনুমোদন

স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুই প্রকল্প অনুমোদন

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প ফেজ্ব-৩’-এর আওতায় কম্পোনেন্ট-১ ইনটেক, ‘র’ ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন অ্যান্ড ‘র’ ওয়াটার পাইপলাইন স্থাপনে পূর্ত কাজ্ব এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি ওয়ার্কফেয়ার এবং সার্ভিসেস সাপোর্ট, নন-কনসাল্টিং সার্ভিস ক্রয়সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৪৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪২১ টাকা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প ফেজ্ব-৩’- এর আওতায় কম্পোনেন্ট-১ ইনটেক, ‘র’ ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন অ্যান্ড ‘র’ ওয়াটার পাইপলাইন স্থাপনে পূর্ত কাজ্ব ক্রয়ের জ্বন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিড ডক্যুমেন্ট ইস্যু করা হয়। তার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ওয়ান স্টেজ্ব টু ইনভেলপ পদ্ধতিতে দরপত্র দাখিল করে। প্রস্তাবটি কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে চায়না মেশিন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন, কুজু টপলু কোনাট এএস এবং ইয়োলো রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট কো.লি. প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪২১ টাকা। বৈঠকে আইএসও কম্পোনেন্ট-৬: বিল্ডিং কমিউনিটি রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড সেলফ-রিলায়েন্সের আওতায় কমিউনিটি ওয়ার্কফেয়ার অ্যান্ড সার্ভিসেস সাপোর্ট, নন কনসাল্টিং সার্ভিস-০১ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

প্রকল্পের জ্বন্য সিঙ্গেল সোর্স সিলেকশন পদ্ধতিতে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বরাবর আরএফপি আহ্বান করা হলে প্রস্তাব দাখিল করে। পিইসি কর্তৃক প্রস্তাবটি উপযুক্ত বিবেচেনা করা হয়। পরবর্তীতে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা উপযুক্ত দরদাতা প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে ৪৪০ কোটি টাকায় প্রকল্পের নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্রয় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে অতিদরিদ্র ৩ লাখ ৯০ হাজার জ্বন রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা দেয়া, প্রতিমাসে ৯৫ হাজার ৯৪৪ জ্বন রোহিঙ্গা নারীকে পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষা দেওয়া, ১৪ হাজার ৫০০ জ্বন রোহিঙ্গা পরিবারকে সবজি বাগান তৈরিতে সহায়তা দেয়া এবং সমাজ্ববিরোধী কাজে লিপ্ত না হওয়ার জ্বন্য সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ্ব সম্পাদন করবে। প্রকল্প দলিলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে একক উৎসভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত