অনিয়ন্ত্রিত কারণে কোনো তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রুগ্?ণ হলে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং মালিকের জন্য একটি কার্যকর এক্সিট পলিসি প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বিজিএমইএর নির্বাচনি জোট ফোরাম।
২০২৫-২৭ সালের বিজিএমইএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পোশাক মালিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম ফোরামণ্ডএর প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, তৈরি পোশাক খাত দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস যেখান থেকে প্রায় ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। এই খাত একদিকে অর্থনীতি ও জিডিপিতে যেমন অবদান রাখছে, পাশাপাশি কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা ও জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে এটিও সত্য, নানা প্রতিকূলতা আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ শিল্প ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে টিকে থাকলেও, এখনও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই উন্নয়নে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএ শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় শক্তিশালী ও পেশাদার ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা সব সদস্যর। এমন বাস্তবতায় আজ পোশাকশিল্পের সব উদ্যোক্তা একটি স্বচ্ছ, গতিশীল, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ গঠনের জোর দাবির সঙ্গে আমাদের সংগঠন ফোরাম একাত্মতা প্রকাশ করছে। মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ফোরামের পক্ষ থেকে পোশাক খাতের জন্য আমরা কয়েকটি অগ্রাধিকারের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। তবে, সময়ের সঙ্গে সামনে আসবে অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলা করতে হবে। দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ গড়ে তুলতে হবে আমাদের। সমৃদ্ধ অর্থনীতির স্বার্থে বিজিএমইএকে নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে।
‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয়’ গঠন : সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পোশাকশিল্পের অগ্রযাত্রার জন্য সরকারের নীতি সহায়তা চলমান থাকতে হবে। এই মুহূর্তে পোশাকশিল্প সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখাপেক্ষী হতে হয়। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক বিষয়ের কারণে ব্যাপক সময় ব্যয় করতে হয়। যেখানে শুধু পোশাকশিল্পকে যথেষ্ট সময় দেওয়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব হয় না। পোশাকশিল্পের সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আমাদের অনেক দিনের। আমাদের প্রস্তাব, এ লক্ষ্যে নতুন কোনো মন্ত্রণালয় না করে বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে ‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয়’ গঠন করা দরকার। এসএমই, নন-বন্ড ফ্যাক্টরি ও নতুন উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা ফোরামের প্যানেল লিডার বলেন, পোশাক খাতের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ অনেক দিনের।