ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অসময়ে নদের ভাঙনে বিলীন ঘরবাড়ি-জমি

অসময়ে নদের ভাঙনে বিলীন ঘরবাড়ি-জমি

অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর লালচামার কাপাসিয়া হয়ে শ্রীপুর ইউনিয়নের ফুলমিয়ার বাজার পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকা। পানি কমতে শুরু হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মানুষের ঘরবাড়ি আবাদি জমি। প্রায় এক সপ্তাহব্যাপী অব্যাহত ভাঙনের কবলে বাপ-দাদার ভিটা মাটি, বাড়িঘর ও আবাদি জমি নদের গর্ভে বিলীন হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের অর্ধ শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধ না হওয়ায় আতঙ্কে আছে নদীপাড়ের কয়েক শতাধিক পরিবার। জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারপরও নুতন নুতন এলাকা ভাঙনের মুখে পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, এরইমধ্যে নদীর অব্যাহত ভাঙনে ভিটা-মাটিসহ সব হারিয়ে ৬০-৭০টি পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদের গর্ভে চলে গেছে শতাধিক একর ফসলি জমি। এখনও ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই এলাকার স্থাপনা, সড়কসহ কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান নতুন করে ভাঙনের মুখে পড়ছে। নদের গর্ভে চলে গেছে দেড় শতাধিক একর ফসলি জমি।

তীরবর্তী বাসিন্দা মেরাজ মিয়া জানান, এক মাসের ব্যবধানে এ এলাকার অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছেন। নদী ড্রেজিং করে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয় বলে স্থানীয়রা অনেকেই মনে করেন। ৭০ বছর বয়স্ক মুর্শিদা বেগম জানান তার জীবনেও এরকম নদী ভাঙন দেখেননি। ব্রহ্মপুত্র যেভাবে ভাঙছে তাতে সবাই আতঙ্কে আছেন। এখন স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রয়োজন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জানান, প্রতিদিন জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য গণশুনানি শেষে একটি সমীক্ষা প্রকল্প প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এরইমধ্যে এ প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে অবিলম্বে এই প্রস্তাব পাস হলে এখানে সিসি ব্লোকের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এবং জরুরি প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। স্থায়ী প্রতিরোধের কাজ করলে এ এলাকায় আর ভাঙন থাকবে না বলে আশা করছেন। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের সংযোগ স্থলে উজানে হরিপুর কাপাশিয়া, লালচামার ও ভাটিতে কামারজানি এলাকার শ্রীপুরে স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত