ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তিস্তার হাঁটু পানিতে নেমে প্রতিবাদ

তিস্তার হাঁটু পানিতে নেমে প্রতিবাদ

আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিস্তা থেকে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার এবং পানির নায্য হিস্যা ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে মৃত প্রায় তিস্তা নদীর হাঁটু পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক ও রেল ব্রিজের নিচে হাটু পানিতে নেমে এই প্রতিটি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের তিস্তা নদী বেস্টিত পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে একযোগে লাগাতার ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে তিস্তা পাড়ের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তিস্তার পানিতে নেমে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখরিত। এ সময় তিস্তা নদীর পানিতে নেমে তরুণরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘তিস্তা আমার মা, ভারতের হতে দিব না’, ‘তিস্তা পাড়ের কান্না আর না আর না ’। পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানানো তিস্তা নদী পাড়ের বাসিন্দা বৃদ্ধ আব্দুল জলিল বলেন, পানিতে নেমেছি প্রতিবাদ করতে। কারণ আমার এই বয়সে আমার যে জমি, সেই জমিতে ফসল হচ্ছে না পানির অভাবে। আমরা আমাদের সেই পূর্বের তিস্তা দেখতে চাই, যেখানে অনবরত পানির স্রোত থাকবে। আমরা মাছ ধরব। যতদিন লাগে আমরা আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাব। গতকাল মঙ্গলাবার সকালে লালমনিরহাটের তিস্তার তীর ঘেষা রেল সেতু সংলগ্ন এলাকায় পদযাত্রা শুরু হয়। প্রায় মিটার দীর্ঘ এই পদযাত্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। পদযাত্রাটি তিস্তা সড়ক সেতু থেকে শুরু করে কাউনিয়া বাজার পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় হাজার হাজার মানুষের কণ্ঠে ছিল- জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই। পদযাত্রা শেষ হওয়ার পরে দুপুর ২টার দিকে পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি পালন করা হয়। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একযোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত