ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় এ বছর খিরার ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু ফলন ভালো হলেও উৎপাদিত খিরার পাইকারি বাজার দর কম থাকায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। রমজানে খিরার ভালো চাহিদা থাকলেও কৃষকরা লাভবান হচ্ছে না।
কৃষকরা বলেন, যে খিরা পাইকারি কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার কথা, সেসব খিরা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে পাইকারি ১৩ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। অধিক লাভের আশায় খিরা চাষ করে কৃষকরা এখন উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতেই হিমশিম খাচ্ছেন। অথচ রমজান উপলক্ষে খুচরা বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় খিরা চাষ করে চরম হতাশায় পড়েছেন চাষিরা। উৎপাদিত খিরা নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। কৃষকদের জন্য দাগনভূঞা পৌর শহরসহ বিভিন্ন বড় বড় বাজারগুলোতে খুচরা বিক্রি করার স্থান নির্ধারণের দাবি জানান স্থানীয় কৃষকরা।
বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, সিন্ডিকেটের কারণে তাদের খুচরা বিক্রির জন্য বসতে দেয়া হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর দাগনভূঞা উপজেলায় মোট ৪৮ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা জানান, খিরা সালাদের উপকরণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। গরমে পানির তৃষ্ণা মেটানোর খিরা উপকারী। বাজারে দেশীয় উফশী ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা চাষ হয়ে থাকে। জমিতে বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মাথায় চারা গজায়। এক মাসের মাথায় গাছে ফুল ও ফলের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়। দেড় মাস পূর্ণ হওয়ার পর গাছ থেকে খিরা সংগ্রহ করা হয়।