২০৪০ সালের আগেই কুড়িগ্রামকে তামাকমুক্ত জেলায় পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন। ডিসি নুসরাত সুলতানা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কুড়িগ্রামকে আমরা তারও আগেই তামাকমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করতে চাই। এজন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আলোচনা সভায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, সোশ্যাল ক্যাম্পেইনের ফলে ধূমপানের পরিমাণ অনেক কমেছে। সিনেমা বা গণমাধ্যমেও ধূমপানবিরোধী বার্তা দেওয়া হচ্ছে, যা ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত। সভায় কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস ধূমপানের ক্ষতিকর দিক ও পরিসংখ্যানসমূহ ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায় এবং এনডিসি সায়েখুল হাসান খাঁন সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় আর বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু ও অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সম্মিলিত শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সদস্য সচিব ও জেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক আমিনুর রহমান, পৌর জামায়াত আমির মো. মতিউর রহমান ও এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক ডা. মো. নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম জেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়কে ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়। এছাড়া বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী চারজন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক। আলোচনা সভার আগে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে।