ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তমরুদ্দি লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন- লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম ও নাফিসা বেগম। এদের মধ্যে লায়লা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শামীম উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদরে প্রেরণ করেন। আহত বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়িতে ফিরে যায়। তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সূত্র জানায়, তমরুদ্দি লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাওলা কাজল। ৫ আগস্টের পর গোলাম মাওলা কাজল ঘাট থেকে পালিয়ে যায়। পরে গোলাম মাওলা কাজলের সঙ্গে সমঝোতা করে স্থানীয় আলমগীর নামে একজন তমরুদ্দি ঘাটের সব কর্মকাণ্ড দখল করে নেন। একটা সমঝোতা করে নেয়। সেই থেকে আলমগীর ঘাটের দায়িত্ব এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। কিন্তু তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছেন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের অনুসারীরা ঘাটের দখল নিতে দলবল নিয়ে লঞ্চঘাটে যায়। এসময় তানভীরের লোকদের লঞ্চঘাটে থাকা লোকজন ধাওয়া করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় ঘাটের পাশে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের নারী পুরুষ সবাই এগিয়ে আসলে সংঘর্ষে নারীরাও জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা সদর থেকে পুলিশ, নৌবাহিনী ও তমরুদ্দি কোস্ট গার্ড লঞ্চঘাটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয় বিএনপি নেতা আলমগীর জানান, ঘাটের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে তিনি জানান, প্রতিদিনের ঘাট থেকে উপার্জনের ৪০ শতাংশ টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান। তিনি শুধু শ্রমিকদের দেখভাল করেন। প্রতিপক্ষ তানভীর হায়দার জানান, আলমগীর ঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা করে ভোগ দখল করে আসছেন। ঘাট দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান, তমরুদ্দি ঘাট নিয়ে তানভীর গ্রুপের ও আলমগীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ ও নৌবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত