ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্বস্তিদায়ক রমজান পালনের জন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার

জানাল ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
স্বস্তিদায়ক রমজান পালনের জন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার

স্বাভাবিক ও স্বস্তিদায়কভাবে রমজান পালনের জন্য সরকার আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এক বিবৃতিতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, রমজানে যাতে ভোক্তারা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পেতে পারেন, তার আগাম প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তেল, চিনি, খেজুর, ফল, মসলাসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্য আমদানির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। ফলে এ মুহূর্তে বাজারে এসব পণ্য এখন ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। এতে বলা হয়, এ মুহূর্তে দেশের প্রায় সর্বত্র বোতলজাত সয়াবিন চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে চিনি, খেজুর, মসলা, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। প্রকাশিত একটি খবরের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের পাইকারি আড়ত খাতুনগঞ্জ-চাকতাই থেকে পাইকারি ফলের আড়ত এবং স্টেশন রোডের ফলমন্ডিতে ভোজ্যতেলসহ চিনি, পেঁয়াজ, আলু, খেজুর, ছোলাসহ প্রচুর পণ্যে ভরে গেছে। এতে পণ্যের মূল্য কমতির প্রবণতা দেখা গেছে।

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, বছরে খেজুরের ৯০ হাজার টন চাহিদার মধ্যে রমজানে কম-বেশি ৫০ হাজার টন চাহিদা থাকে এবং যার মধ্যে ২১২৬১ টন এরইমধ্যে দেশে এসেছে। রমজান মাসে চিনির ৩ লাখ টন চাহিদার মধ্যে ২.৫ লাখ টন এরইমধ্যে আমদানি হয়েছে, যা চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশ। রমজান মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা ৩ লাখ টনের মতো, যার মধ্যে ৩ লাখ ৮৯ হাজার টনের মতো এরইমধ্যে আমদানি হয়েছে।

অপর একটি দৈনিকের খবর থেকে জানা যায়, এ বছর খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিতে ১০০-২০০ টাকা কম। ১ কেজি মাবরুর ৪০০-৪৫০ টাকা, দাব্বাস ৪০০ টাকা, সুক্কার ২৫০ টাকা, আম্বার মান ভেদে ৭০০-১৬০০ টাকা, কামরাঙ্গা ৬৫০ টাকা, মরিয়ম ৫০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরইমধ্যে MT Champion Avenue হতে ১৩ হাজার মেট্রিক টন, MT Maersk Beaufort হতে ১৩ হাজার মেট্রিক টন অর্থাৎ মোট ২৬ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল চট্টগ্রাম পোর্টে খালাস হয়েছে। অপরদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত একটি দৈনিক খবর থেকে জানা যায়, গত অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ছোলা আমদানি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৪ শতাংশ, খেজুর ২৩ শতাংশ, চিনি ২০ শতাংশ, ডালজাতীয় পণ্য ৪৪ শতাংশ, রসুন ২০ শতাংশ ও আদা আমদানি ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারের আগাম দূরদর্শী পরিকল্পনা যেমন কর সমন্বয়সহ পণ্যের নীতিগত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমদানিকারকরা ভোজ্যতেলসহ ফল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুর, ছোলা, আলু ইত্যাদি বিপুল পরিমাণ আমদানি/সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু ভোজ্যতেল বিষয়ে আমাদের একটু অস্বস্তি রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভোজ্যতেল আমদানি হলেও কিছু ব্যবসায়ীর মাঝে বাজারে তেল সরবরাহে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত