ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পুলিশের লাঠিপেটায় জবির অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত

পুলিশের লাঠিপেটায় জবির অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার অভিমুখে লংমার্চ করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান নিক্ষেপে লংমার্চ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় লংমার্চ। এরমধ্যেই পুলিশের লাঠিপেটায় জবি’র অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন। তবে, হাসপাতালে ভর্তি হন দুজন। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের নিবন্ধন সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করে। সর্বশেষ রাত ১০টায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আরও কয়েকশ’ শিক্ষক-শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- রফিক, শফিক, ওমর ফারুক, আরিফ আসলাম, রেদোয়ান, আসিফ, রহমান, আকিব, আবদুর রহমান, জীবন, হানিফ, জিসানুল, মাহতাব লিমন, মেহেদী, মুজাহিদ, অর্থিব, আপেল, রায়হান, ফারুক হোসেন, আবু বকর, নিউটন ইসলাম, মাহিদ, রাসেল, গৌরব, আবদুল মান্নান, জিসান, নাহিদ, জুয়েল, মোহন, সোহানুর রহমান, মাসুমা, সংগ্রাম, বাইতুল, রাজু, সুমন, রাজিব, আকাশ ও সুবর্ণ আস সাইফ। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাহতাব লিমন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুবর্ণ আস সাইফ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে যমুনার অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা আবার কাকরাইল মসজিদের সামনে ফিরে আসেন। সেখানে তারা অবস্থান নেন। এর মধ্যে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা সেখানে অবস্থান করেন। লংমার্চে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন।

জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল পৌনে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষাক-শিক্ষার্থীরা। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সংঘর্ষের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত