ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মৃত্যুর পরই প্রশাসনের ঘুম ভাঙে, বসে গতিরোধক

মৃত্যুর পরই প্রশাসনের ঘুম ভাঙে, বসে গতিরোধক

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। গতকাল রোববার (১৮ মে) রাত ৮টার দিকে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া- ক্লাসপাড়া রাস্তার মোড়ে পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জুনাইয়েদ (২৪) নামে এক যুবকসহ ছয় মাসে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর ঘুম ভাঙে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। দ্রুতগতিতে বসানো হয় গতিরোধক। স্থানীয়দের দাবির মুখে, রোববার রাতে দুর্ঘটনা সংঘটিত এলাকা টেকনাফ সড়কের চৌধুরীপাড়া পাঁচ রাস্তার মাথা এলাকায় গতিরোধক বসানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুর থেকে গতিরোধক বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে গতকাল রোববার রাতে দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর দিন গতকাল সোমবার চৌধুরীপাড়া পাঁচ রাস্তায় মাথা এলাকায় গতিরোধক বসানোর জন্য স্থানীয় রহমত উল্লাহ সিকদার নামের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। রহমত উল্লাহ সিকদার তার আবেদনে ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চৌধুরী পাড়া পাঁচ রাস্তার মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়ক গতিরোধক বসানো দাবি করেন। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তথ্য সূত্র বলছে, কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের ৮১ কিলোমিটার সড়কে ১০৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এর মধ্যে ৬২টির মতো বাঁক চরম ঝুঁকিপূর্ণ। বিআরটিএ কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্য সূত্র বলছে, গেল ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১৬টি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে ১৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৫ জন।

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘চালকদের প্রশিক্ষণ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা না নিলে কোনো মতেই দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ ইজিবাইক টমটমের চালক রোহিঙ্গা। তাদের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। রোহিঙ্গারা যাতে গাড়ি চালাতে না পারে সেই জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের আরও সজাগ হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, মোস্তফা মুন্সী ‘টেকনাফ সড়কে ১০৮ বাঁকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বাঁকে চেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে সড়কে চলাচলরত ইজিবাইক টমটম। অদক্ষ চালকদের কারণ এবং বেপরোয়া মোটরসাইকেল, ডাম্পার চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফ সড়কে ৫-৬টি স্পষ্টে গতিরোধক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সহসাই কাজ শুরু হবে।

শাহপুরী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। তবুও নিয়মিত ইজিবাইক টমটমের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিয়মিত মামলাও দেয়া হচ্ছে। গাড়ি ধরলেই নানা তদবিরও কম নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের দাবিতে চৌধুরী গতকাল সোমবার পাড়া পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকায় সড়ক গতিরোধক বসানো হয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও গতিরোধক বসাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত