ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আইনি মতামত পাওয়ার পর শেখ হাসিনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত : ইসি

আইনি মতামত পাওয়ার পর শেখ হাসিনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত : ইসি

নির্বাচনি হলফনামায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য গোপনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে আইনি মতামত পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্বাচনি হলফনামায় তথ্য গোপনের বিষয়ে দুদকের চিঠি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ইসির আইন শাখার মতামত চাওয়া হয়েছে। তাদের মতামত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই এই মতামত দেবে ইসির আইন শাখা।’ ইসিকে দেওয়া চিঠিতে দুদক বলেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়। উক্ত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ১৯-১১-২০০৮ তারিখে নির্বাচন কমিশনে তার দাখিলকৃত হলফনামা পর্যালোচনা করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে হলফনামার মাধ্যমে দাখিলকৃত পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণীতে তার নিজ নামে অর্জিত কৃষি জমির পরিমাণ ৬.৫০ একর উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে ক্রয়কৃত জমির অর্জনকালীন আর্থিক মূল্য দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু সমসাময়িক সময়ে তার কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নিজ নামে অর্জিত ২৮ দশমিক ৪১১ একর জমির তথ্য পাওয়া যায়। তন্মধ্যে তার ক্রয়কৃত জমির মূল্য ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০ টাকা। সে অনুযায়ী তদনুযায়ী তিনি হলফনামায় ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথা গোপন করেছেন এবং ক্রয়কৃত জমির মূল্য ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০ টাকা কম দেখানোর মাধ্যমে হলফনামায় অসত্য তথ্য প্রদান করেছেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়া তিনি মাগুরা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের সংসদ সদস্য পদের শুল্কমুক্ত কোটা ব্যবহার করে বেনামে ২ লাখ ৩০ হাজার ইউরো মূল্যে (গাড়ি আমদানির এলসির বিপরীতে ব্যাংক থেকে পরিশোধিত মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা) একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি আমদানি করে নিজ আবাসিক ঠিকানা ‘সুধা সদন’, বাড়িনং-৫৪, রোডনং-৫, ধানমন্ডি, আবাসিক এলাকা, ঢাকা-এর ঠিকানা ব্যবহার করে গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৬৩৬৪) করেন এবং নিজে তা ব্যবহার করেছেন। প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের আয়কর নথিতে কিংবা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত তার হলফনামায় আলোচ্য গাড়িটির বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি এবং তিনি কখনও তা ব্যবহারও করেননি মর্মে জানা যায়।

এমতাবস্থায়, কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বর্ণিত তথ্যাদির আলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর আওতায় হলফনামায় অসত্য তথ্য প্রদানের বিষয়ে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত