সাতক্ষীরায় দুইদিনব্যাপী আয়োজিত হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহারি পিঠা উৎসব। আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠা। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে ঐতিহ্যেবাহী সাতক্ষীরা সিটি কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের আয়োজন। গত বৃহস্পতিবার বসকাল থেকে শুরু হয়েছে এ পিঠা উৎসব। গতকাল শুক্রবার ছিল শেষ দিন। পিঠা উৎসবে আসা দর্শনাথীরা গ্রাম বাংলার পিঠাপুলি নিয়ে নানা কথা। পিঠা উৎসবে আসা দর্শনাথীরা জানান, পিঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে নগরায়নের প্রভাবে আজ তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এক সময় বাঙালির যেকোনো উৎসব আনন্দে মিশে থাকতো রকমারি পিঠা। আজকাল অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে এ ঐতিহ্য। সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষাথী ও পিঠা উৎসবের আয়োজক রাফিয়া সুলতানা রাইজিংবিডিকে বলেন, অথচ এটি বাঙ্গালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে মিলেমিশে ছিল।
তাই নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করাতে বেশি বেশি এই ধরনের উৎসবের আয়োজন করে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পিঠাণ্ডপুলির আয়োজন। তিনি আরো বলেন, গ্রাম বাংলার পিঠাপুলির স্বাদ ও লোক সাংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু হয়েছে পিঠাণ্ডপুলির এই পিঠা উৎসব। সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কারিগারি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে এই উৎসবের আয়োজন। সাতক্ষীরা সিটি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নওশাদ আলম জানান, লেখাপড়া শেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যদিয়ে নিজেরাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে এ জন্য আজকের এই পিঠা উৎসব। সাতক্ষীরা সিটি কলেজে পিঠা স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে বিকিকিনি। বাহারি রঙের সঙ্গে বৈচিত্রময় ডিজাইন ও নকশায় অনন্য হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।