ঢাকা ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বীজতলা বিপাকে পড়েছেন কৃষক

কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বীজতলা বিপাকে পড়েছেন কৃষক

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় যশোরের কেশবপুরে বোরো বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে বোরো ধান আবাদ করতে চারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এ উপজেলায় সেচপাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন চললেও এখনো ৮০ শতাংশ জমি জলাবদ্ধ। উঁচু জমির অভাবে কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় বীজতলা তৈরিতে উঁচু জমির কৃষকরা এককাঠা জমির ভাড়া হাকাচ্ছেন ৩ হাজার টাকা করে। উপজেলার ৬ থেকে ৭ স্থানে পানি নিষ্কাশনে সেচ প্রকল্প চললেও পানি কমছে না। সেচ কমিটি কৃষকের কাছ থেকে সেচ বাবদ ৩ হাজার টাকা করে আদায় করছে। এদিকে, জানুয়ারির শুরু থেকে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সাথে ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বীজতলায় চারা লালচে বর্ণ ধারণ করে উপরের দিক থেকে শুকিয়ে মরতে শুরু করে। ফলে বীজতলায় চারা উৎপাদন নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন।

মধ্যকুল গ্রামের কৃষক শাহীনুর রহমান বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে বোরো আবাদের জন্যে ২ কাঠা জমিতে চারা উৎপাদনে বীজতলা তৈরি করে বীজ বপণ করেছিলেন। কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বীজতলার অনেকাংশ নষ্টের পথে। বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি চারা গুলো হলুদ হয়ে গেছে। ওষুধ ছিটিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হতে পারে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। এর জন্যে বীতলার প্রয়োজন ৬৯২ হেক্টর জমি। চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদের জন্যে কৃষি বিভাগের প্রদর্শনী প্লটের জন্যে ব্রির উচ্চ ফলনশীল জাত, রড মিনিকেটসহ হাইব্রিড জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী জানান, যারা সময়মত পরিচর্যা করেছেন তাদের বীজতলা অনেকাংশে ভালো রয়েছে। তাই বীজতলা তৈরি ও বীজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে চাষিদের আরো বেশি সক্রিয় থাকতে হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চলতি বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে নিন্মাঞ্চলের কৃষকদের বোরোর বীজতলা তৈরিতে বিলম্ব হয়। উঁচু এলাকার বীজতলা রক্ষায় প্রতি রাতে বীজতলায় পানি জমিয়ে সকালে ছেড়ে দিতে হবে। ঘনকুয়াশা থেকে রক্ষায় প্রতি রাতে পলিথিন দিয়ে চারার বেড ঢেকে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ছত্রাকনাশক, থিযোভিট, কুইক পটাশ অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত