ঢাকা ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১২ বছর ধরে অকেজো স্লুইস গেট

১২ বছর ধরে অকেজো স্লুইস গেট

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় চিরিনদী খালের ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে কৃষকের কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় চুরি হয়ে গেছে স্লুইস গেটটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। স্লুইস গেটটি অকেজো হওয়ায় নদী পারাপারে কৃষকরা কৃষি পণ্য আনা নেয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষককে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, চিরিনদীতে কৃষকের সেচ সুবিধার জন্য শুষ্ক মৌসুমের পানি আটকে আলু, ভুট্টা, রসুন, সরিষা ও বোরো ধান খেতে কম খরচে পানি দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্লুইস গেট ছিল। সেটি দিয়ে কৃষকরা উপকৃতও হতো। কিন্তু প্রায় ১২ বছর হলো স্লুইস গেটটি পরিত্যক্ত হয়ে বন্যার পানিতে ভেঙে পড়ে। এ সময় কৃষকের ভোগান্তি দূর করতে একটি অপরিকল্পিত স্লুইস গেট নির্মাণকাজ শুরু করা হয় সেখানে। স্লুইস গেটটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে শুধু সংযোগ সড়কের জন্য দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়েছে। এমন সময় বর্ষাকালে নদীর পানি বেশি হলে একপাশে মাটি সরে পানি চলে যায় কারণ নদীর মাঝ খানে ছোট করে স্লুইস গেটটি অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করায় শুষ্ক মৌসুমে পানি আসে না। চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন আগে তৈরি হওয়ায় এটির কাগজ পত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এটি কোন অর্থ বছরে কত টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। স্থানীয় কৃষকরা জানান সরকারি প্রকল্পে স্লুইস গেট তৈরি করা হয়েছিল যাতে কৃষক খেতে পানি দিতে পারে। কিন্তু এটি নদীর মাঝেখানে ছোট করে তৈরি করায় স্লুইস গেটটি কাজে আসে না। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পড়ে আছে। অনেক জিনিস চুরি হয়েছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় নদীর ওপার থেকে কোনো পণ্য নিয়ে নদী পার হতে পারি না। উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদার রহামান বলেন, উপজেলার পূর্ব সাইতাঁড়া গ্রামে চিরিনদীতে দীর্ঘদিন আগে স্লুইস গেটটি তৈরি করা হয়েছে। স্লুইস গেটটি ছোট করে নির্মাণ করা হয়েছে। আর নদীটি বড় হওয়ার কারণে সেখানে বর্ষার সময় পানি আটকে থাকে না। তাই নদীর পাড় ভেঙে পানি চলে আসে। সেখানে একটি সেচ কমিটি আছে। তারা যদি আমাদের কাছে বিষয়টি সঠিকভাবে আবেদন করে তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত