একসময় হবিগঞ্জ শহরকে পুকুরের নগরী বলা হতো। এই শহরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরিবেশ ও সংস্কৃতির মধ্যে যুক্ততা রয়েছে পুকুর-জলাশয়গুলো। এখানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও যত্নের অভাবে পুকুরগুলো বিলীন হচ্ছে। এগুলো রক্ষা হলে সৌন্দর্যের পাশাপাশি সামাজিক ও পরিবেশগত জীবনমান ঠিক থাকবে।
তাই পুকুর জলাশয় রক্ষায় সবাইকে এখনই যত্নশীল হতে হবে। তবে এখানে সুখবর হলো হবিগঞ্জ জেলা শহরের টাউন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুরটি দখলমুক্ত হয়েছে। এখন পুকুরটিকে নান্দনিক করতে হবে। বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে গত শনিবার ওই পুকুরটি পরিদর্শন শেষে পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা এ সব কথা বলেছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাপা হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাড. মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, লেখক তাহমিনা বেগম গিনি, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মোমিন, নির্বাহী সদস্য হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার বাপা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল।
টাউন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুরটি দখলমুক্ত করে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। পরিদর্শনকালে তারা বলেন, দীর্ঘ অনেক বছর পুকুরটিকে দখলে রেখে ময়লা, আবর্জনা ফেলে এটির অস্তিত্ব বিলীনের চেষ্টা করা হয়েছে। এটি রক্ষায় দীর্ঘ আন্দোলন করতে হয়েছে আমাদেরকে।
পুকুরটি দখলমুক্ত ও সীমানা চিহ্ন দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তারা বলেন, আমাদের অনুরোধে এই পুকুরটিকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের স্বনামধন্য সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত দাশ একটি নকশা প্রণয়ন করেছেন। এরই মধ্যে নকশাটি পৌর প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী পুকুরটি খনন ও নান্দনিক পুকুরে পরিনত করলে শহরটিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।