বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলা মামলার আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এবং তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে ৩ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলার আসামি হিসেবে সাবেক এই মন্ত্রীর ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শারমিন নাহার এ আদেশ দেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এদিকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় উৎসুক জনতা মন্ত্রী ও অন্যান্য আসামিদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ শুরু করলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির মামলায় গত বৃহস্পতিবার সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে দুই দিনের জন্য জেল গেটে জিজ্ঞাসবাদের আদেশ দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়ায় ওই মামলায় আবারো আদালতে আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ফরহাদ হোসেন ও তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামানের দায়ের করা আরেকটি মামলায় সাবেক মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম জানান, আদালতে দুটি মামলার শুনানি হয়। একটি মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও তার ভাইকে তিন দিনের অন্য মামলায় তার ভগিনপতিকে দুই রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালতে। আমরা রিমান্ডের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরি। আসামি পক্ষের আইজীবী ইব্যাহীম শাহীন জানান, মমলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি পুরো না বুঝেই আসামিদের রিমান্ড আবেদন করেছন।