ঢাকা ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ

ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ

মানিকগঞ্জে ফসলি জমি থেকে মাটি বাণিজ্যের উৎসবে মেতেছে ভূমি খেকো একটি চক্র। ২০ থেকে ২৫ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে আশপাশের কৃষিজমিও ভেঙে পড়ছে। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ফসলি জমির মালিক ও কৃষকরা। জানাগেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ কৃষি জমির মাটি দিনরাত সমানতালে লুটে নিচ্ছে চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্রটি। সড়ক-মহাসড়ক ব্যবহার করে এ সব মাটি নির্বিঘ্নে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে চক্রটি। সরেজমিন দেখা গেছে, বলধরা ইউনিয়নের সোনাখালির চক, আত্রাইল চক, বেরুন্ডির চকের তিন ফসলি জমির টপ সয়েল ভেকু (এক্সকেভটর) দিয়ে কেটে নেয়া হচ্ছে। সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের তেলিখোলা গ্রামের জয়নাল আবেদিনের সাথে। কান্না বিজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, চক্রটি মাটি বাণিজ্য করতে যে ঘের দিয়েছে সেখানে আমার ৮ থেকে ১০ পাখি কৃষি জমি রয়েছে। এরই মধ্যে আমার প্রায় ১ বিঘা জমি ভেঙে গেছে। ঘেরের ভেতরের জমি চাষাবাদেও সমস্যা হচ্ছে। এর আগে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে কৃষিজমি রক্ষা ও অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হই। আমার আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে তিনটি ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চক্রটি আমাকে মারধর করে।

তেলিখোলা গ্রামের তারা মিয়া, সৈয়দ আলী মুনসি, আনসার, শামসুদ্দিনসহ ২০/২৫ জন কৃষক এই অপ-তৎপরতা বন্ধে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বলধরা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম আতিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত সোমবার আমি ইউএনও স্যারের নির্দেশে কুদ্দুস কোম্পানির ভেকু বন্ধ করে দিয়েছি।

যেখানেই অভিযোগ পাই সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, কৃষি জমির কাটা বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত