ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

৭ কিলোমিটার সরকারি খালে অর্ধশত বাঁধ

৭ কিলোমিটার সরকারি খালে অর্ধশত বাঁধ

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সরকারি শাইল সিন্দুর খালে ৭ কিলোমিটারে প্রায় অর্ধশত স্থানে বাঁধ দিয়ে পুকুর (স্থানীয় ভাষায় পাগাড়) করা হয়েছে। এতে সরকারি এই খালটি দখল হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ। সরজমিনে দেখা যায়, সরকারি শাইল সিন্দুর খালে উপজেলার পলাশতলী ব্রিজের দক্ষিণে ও উত্তর পাশে বৈলারপুর-বিন্নাআটা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার অংশে অর্ধশত স্থানে বাঁধ দিয়ে পুকুর করা হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে পুকুরগুলো ভরে যায় পরে কার্তিক মাসে মাছ ধরে। স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন জানান, সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো পাগাড় (পুকুর) করা হচ্ছে। খালে বাঁধ দেওয়ার, খালে পানি নেই। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

খাল পাড়ের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান, খাল খননের জন্য সরকার নিয়মিত বরাদ্দ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খাল খননে পুকুর চুরি করেছে। ফলে খালটি আস্তে আস্তে দখল হয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালে বাঁধ দেয়া খোরশেদ আলম ওরফে খুরছু ও বাছেদ মিয়া জানান, বেকু দিয়ে খালে এই পাগারটি (পুকুর) করেছি। শুধু আমরাই না এই খালে অনেকেই এমন করে পাগার (পুকুর) করছে। তাই আমরাও করেছি। এতে আমাদের কেউ বাঁধা দেয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আক্তার জানান, খালের পাড়ে প্রচুর কৃষিজমি আছে। এগুলোর মধ্যে ধান চাষ হয়। কৃষক যদি খাল থেকে সেচের ব্যবস্থা করতে পারতো তাহলে আরো লাভবান হতো।

খালটির অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবেন বলেও জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত