ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আতাহার এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালক পলাশ হালদারকে হত্যা করা হয়। পরে অটোরিকশাটি ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহীর তানোর থানার কলমা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে মো. রকি ও রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার কাজলা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জনি। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার ক্রেতা তানোর থানার তালন্দ বাজারের মৃত ফয়জুদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. জুয়েল ও নওগাঁর মান্দা থানার চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার আ. রশিদের ছেলে সানোয়ার হোসেন।

পুলিশ সুপার জানায়, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার একটি সরিষাখেতে পলাশের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। তার গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল। পলাশ হালদার সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালীনগরের শ্রী লাকফর হালদারের ছেলে। পুলিশ সুপার আরো জানান, অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে পলাশ হালদারকে তারা হত্যা করেছেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পলাশের অটোরিকশাটি ভাড়া করেন খুনিরা। আসামিরা ভিকটিম পলাশের পূর্বপরিচিত ছিল। প্রথমে তারা অটোরিকশাচালকে বাংলা মদ খাইয়ে মাতাল করে। একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সরিষাখেতের ভেতর ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যান। এর পর সেটি পৃথক দুটি ভাঙারির দোকানে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত