আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা, নিরাপদ সবজি উৎপাদনে কৃষকরা সফলতা পাচ্ছেন। এই পদ্ধতির ব্যবহারে গাছের কোনো রোগবালাই হচ্ছে না, আগাছা না উঠার কারণে গাছ নিরাপদ থাকছে। এছাড়াও গাছে ফলন বেশি ও গাছের জীবন দীর্ঘ হয়। ফলে এই অঞ্চলে মালচিং পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সারের অপচয় কম, রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা, জমিতে আগাছা রোধ করণ, ফলন বৃদ্ধি, শ্রমিক খরচ সাশ্রয়, জমিতে আর্দ্রতা ধরে রাখা এবং সেচ সুবিধা পেতে বগুড়ার সোনাতলার কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার ৬৫ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৫০ হেক্টর।
গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি জমিতে এবার বেগুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই বেগুনের চারা রোপণের কাজ শেষ করেছে কৃষক। এই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ কৃষকের কাছে নিরাপদ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মালচিং পদ্ধতির প্রতি ঝুঁকেছে কৃষক। সংশ্লিষ্ট উপজেলায় হাজারী বেগুন (ঝুনকি), পারপল কিং ও বিটি জাতের বেগুনের চাষ হয় বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের বেগুনের জমি পরিচর্যা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে উঁচু জমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, পরিত্যাক্ত জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করতে দেখা গেছে। মুশারপাড়া এলাকার তুহিন মিয়া বলেন, গতবছর তিনি দেড় বিঘা জমিতে পারপল কিং জাতের বেগুন চাষ করে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় করেছেন।