শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুরের ভাষাসৈনিকদের সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শরীয়তপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক জালাল উদ্দিন আহমেদসহ ৭ জন জীবন্ত কিংবদন্তিকে মহান ভাষা দিবসে সংবর্ধনা দেয়া হয়। জালাল উদ্দিন আহমেদের দাবি যে ক’জন ভাষা সৈনিক এখনো বেঁচে আছেন তাদের জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির।
দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শরীয়তপুরের ৭ জন ভাষা সৈনিককে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান, পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদিয়া জেরিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) আসলাম হোসাইন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসকসহ অতিথিগন একে একে ভাষা সৈনিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা, উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভাষাসৈনিক জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৮ সালে শরীয়তপুরে প্রথম একটি কমিটি গঠন করে ভাষা সৈনিকদের একটি তালিকা করা হয়। সেই তালিকায় শরীয়তপুরের ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা গিয়েছিল। ১৭ বছরের ব্যবধানে তাদের মধ্যে এখন বেঁচে আছি আমরা মাত্র ৭ জন। তিনি আরো বলেন, ১৯৫২ সালে ভাষা সংগ্রামের সৈনিকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো তালিকাও করা হয়নি, দেয়া হয়নি কোনো স্বীকৃতি।
ফলে বেঁচে থাকা ভাষা সৈনিকরা অনেকটা হতাশ। তাই এ বয়সে এসেও যদি রাষ্ট্রীয় কোন স্বীকৃতি পেতাম তাহলে অন্তত একটু প্রশান্তি পেতাম। রাষ্ট্রের কাছে আমাদের দাবি থাকবে অন্তত দেশব্যাপী যে সব ভাষা নৈসিকরা এখনো বেঁচে আছেন তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়া।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়েই বাংলা ও বাংলাদেশের অস্তিত্বের শুরু।
তাই ভাষা শহিদ ও যারা এখনো জীবিত আছেন তাদের আদর্শকে লালন করেই জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে যেমন সম্মানীত হবে ভাষা ও দেশ, তেমনি গর্বিত হবেন ভাষা সৈনিকেরাও। ভাষা নৈনিকদের সম্মানীত করতে পারাটাও এখন আমাদের জন্য অনেক গৌরবের।