চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ্ব চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা মুন্সী জাহাঙ্গীর হোসেন।
ঠিকাদারি ব্যবসা ও রাজ্বনীতির পাশাপাশি একজ্বন বোদ্ধা কৃষিজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জ্বন্য তিনি রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করেন। অন্যান্য চৈতালী ফসলের পাশাপাশি তিনি এ বছর প্রায় ১৫০ শতক জ্বমিতে পেঁয়াজ্ব চাষ করেছেন। এর মধ্যে ১০০ শতক জ্বমিতে ‘সুখ সাগর’ জাতের পেঁয়াজ্ব ও ৫০ শতক জ্বমিতে ‘লাল তীর কিং’ জাতের পেঁয়াজ্ব রোপণ করেছেন।
উভয় জাতের পেঁয়াজ্বই অনেক ভালো হয়েছে। এ বছর আশাতীত উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা করছেন। পেঁয়াজ্ব চাষি মুন্সী জাহাঙ্গীর বলেন, মৌসুমের শুরুতে কৃষি অফিস থেকে এক কেজি করে বীজ্ব দিয়েছিল। সে বীজ্ব নষ্ট হয়ে যায়। তার মতো আরও অনেকেরই বীজ্ব নষ্ট হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত কৃষি অফিস তার কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি। পরবর্তীতে বাজার থেকে ‘সুখ সাগর’ ও ‘লাল তীর কিং’ জাতের বীজ্ব কিনে তা জ্বমিতে রোপণ করি। প্রতি শতক জ্বমিতে পেঁয়াজের বীজ্ব (দানা) থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ১২০০ টাকার মত খরচ হয়েছে। এতে তার আনুমানিক দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
এছাড়া রয়েছে নিজের শ্রম। সামনে জ্বমি থেকে পেঁয়াজ্ব তুলে বাড়ি অবধি নিতে আরও কিছু খরচ আছে। তবে, ‘সুখ সাগর’ জাতটা খুবই ভালো জাত। এটা শতকে ২ থেকে তিন মণ উৎপাদন হয়। ‘লাল তীর কিংও মোটামুটি ভালো। এটা শতকে এক থেকে ২ মণ ফলনের আশা করছি।
তবে ‘সুখ সাগরের খরচটা একটু কম। এতে সার একটু কম লাগে। কিন্তু, ‘সুখ সাগর’ পেঁয়াজের দাম প্রতিমণ ১৫০০ টাকা এবং ‘লাল তীর কিং’ ২ হাজার টাকা মণ হলে কৃষকরা বা আমরা লাভবান হবো। এটা হলে আমদের কৃষকরা বাঁচবে, আমিও বাঁচবো। তবে এরকম হলে আমাদের লস হয়ে যাবে। এ পেঁয়াজ্ব উৎপাদনে ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ, জিপশাম, ডিএপি, জৈব সারসহ বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও ভিটামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলা রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া পেঁয়াজ্ব চাষের অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হবে। এ বছর মাঠে মাঠে পেঁয়াজ্ব আর পেঁয়াজ্ব। উপজেলার পেঁয়াজ্ব উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
