দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক সময়ে এ সব দুর্ঘটনা ঘটে।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৪টি যানবাহনের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে ১০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের মিঠাছরা বাজারের ইউটার্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ঝালকাটি জেলার কাঠালিয়া থানার মুশিরাবাদ গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩৫)। অন্যজন হলেন জেলার পশ্চিম মাদারবাড়ি থানার পুরা মসজিদ গ্রামের শাহা আলমের ছেলে সোহাগ (৩৫)।
এ ঘটনায় সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা নীরব পরিবহনের একটি বাস আরেকটি শ্যামলী পরিবহন বাসকে চাপ দেন। এতে নীরব পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের আইল্যান্ড পার হয়ে চট্টগ্রামমুখী হয়ে গেলে দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যান গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
অন্যদিকে শ্যামলী পরিবহন বাসকেও ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন। আহত হন বাসের প্রায় ২০ জন যাত্রী। এ ঘটনায় মহাসড়কে প্রায় ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রিজের পূর্ব পাড়ে একটি ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হালে ট্রলির নিচে চাপা পড়ে আবুল হোসেন (৫৫) নামের এক চালকের মৃত্যু হয়। গতকাল দুপুর দুইটার দিকে ব্রিজের পূর্ব পাড়ের যাত্রাপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রলি চালক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাংড়ির বাজার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
