ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পরকীয়া প্রকাশ করায় ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ

পরকীয়া প্রকাশ করায় ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ

একই ঘরে থাকত দুই যা লাভলি বেগেম ও বৃষ্টি আক্তার কান্তা। বড় ভাবী লাভলির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল দেবর ইলিয়াসকে (২৫)। বিষয়টি দেখার পর পরিবারের অন্য সদস্যদের জানিয়ে দেয় মেজো ভাবী বৃষ্টি আক্তার (২৬)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ওই ভাবীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দেবর ইলিয়াস মিয়া। এ ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের কুশদী গ্রামের হঠাৎ মার্কেট এলাকায় গত রোববার। গতকাল সোমবার কাপাসিয়া থানাপুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

নিহত বৃষ্টির বড় বোন শান্তা আক্তার জানান- বৃষ্টি আক্তারের বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। কাপাসিয়ার কুশদি গ্রামের আ. রশিদের ছেলে সৌদি প্রবাসী সেলিম মিয়ার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় ২০২২ সালে। তাদের সংসার ভালই চলছিল। জীবিকার তাড়নায় গত চার মাস আগে সেলিম বিদেশে চলে যান। লাভলি বেগমের স্বামী বড়ভাই শামিম আগে থেকেই প্রবাসী। সেই সুবাদে দুই যা একই ঘরে থাকত। লাবলির সঙ্গে তার দেবর ইলিয়াসের অবৈধ সম্পর্কের কথা সে আমার কাছে বলে ছিল। বৃষ্টি আরো বলেছিল -আমি তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সবার সঙ্গে বলে দিয়ে বিপদে আছি। আমি বলেছিলাম তুই চলে আয়। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ইলিয়াস বেকার ও মাদকাসক্ত। মাঝেমধ্যেই প্রবাসী সেলিমের কাছে টাকা-পয়সা দাবি করত। গত রোববার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টিকে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যান ইলিয়াস।

নিহতের বড়ভাই কাসেম জানান, আমরা গত রোববার দুপুরে ফোনে জানতে পারি- আমার বোন অসুস্থ। তাকে তার দেবর ছুরি মেরেছে, চিকিৎসার জন্য মনোহরদী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করি। কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বড়ভাই কাসেম মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত