দুই বছর আগে হারানো সিলেটের মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তান খুঁজে পেয়ে মা বললেন হজ করার মতো খুশি হয়েছি। গতকাল সোমবার সকালে বান্দরবান রাজার মাঠে দুবছর আগে হারানো সন্তান খুঁজে পেয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন সিলেটের মরিয়ম বেগম। তিনি বলেন, তার তিন ছেলে এক মেয়ে তার মধ্যে আশিকুর মেজো। গতবছরের বন্যায় ভেসে গিয়ে তার ছেলে আশিকুর রহমান হয়তো মারা গেছেন বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু দুইদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের একজনের ভিডিওর মাধ্যমে জানতে পারেন তার ছেলে বান্দরবানে বেঁচে আছে। তখনই বান্দরবানের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রার সঙ্গে যোগাযোগ করে গত রোববার বিকালে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে সিলেট থেকে এসে গতকাল সোমবার সকালে বান্দরবানে পৌঁছে উম্মে হুমায়রার সঙ্গে দেখা করে ছেলে আশিকুর রহমানকে বুঝে পেয়েছেন। হারানো সন্তান ফিরে পেয়ে মরিয়ম বেগম আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী হজ্ব করে যেরকম আনন্দে খুশি হয়ে থাকেন তিনিও তার হারানো ছেলে ফিরে পেয়ে অনুরুপ সেই রকম খুশি হয়েছেন। বান্দরবানের কন্টেট ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রা বলেন, মার্চ মাসের তিন তারিখে বালাঘাটা থেকে তিন নাম্বার (থানচি বাস স্টেশন) ব্যক্তিগতকাজে গিয়ে দেখতে পান ভারসাম্যহীন আশিকুর রহমান ড্রেন থেকে ময়লা খাবার কুড়িয়ে খেতে দেখে তার কাছে গিয়ে ময়লা খাবারটি কেড়ে নিয়ে ভালো শুকনা খাবার দেন এবং নাম ও ঠিকানা জেনে নিয়ে তিনদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করার পর আশিকুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে রবিবার বিকালে সিলেট থেকে রওনা দিয়ে গতকাল সোমবার সকালে বান্দরবানে পৌঁছলে আশিকুর রহমানকে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি যুব সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন এরকম মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ কোথাও দেখা পেলে সহানুভূতির সহিত দেখে সহযোগীতা করলে সেই ভারসাম্যহীন লোকের পরিবারের সদস্যরা হয়তো পরিবারের কাছে ফিরতে পারবে, তখন কেউ ফিরে পাবে তার সন্তানকে ও কেউ ফিরে পাবে তার বাবা-মাকে।