গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার দুটি পৃথক স্থানে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। রাত ১টার দিকে বরগুনা পৌরসভার কালীবাড়ি গ্রামের ঝোঁপ থেকে মন্টু চন্দ্র দাস (৩৫) নামে এক যুবকের কাদামাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মন্টু চন্দ্র দাস বরগুনা পৌরশহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি কড়ইতলা এলাকার মৃত জয়েশ্বর দাসের ছেলে। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনা সদরের ১নং বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকর এলাকা থেকে মো. হোসেন ডাক্তারের ছেলে মো. মিরাজের (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই মিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়দের। নিহত মিরাজ ও মন্টু চন্দ্র দাসের পরিবারের দাবি, দুই জনকেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। মন্টু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একই রফিক কালু, সুলতান শ্রীধাম ও বিপুল নামক চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্টুর ও মিরাজের লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।