ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবশেষে ধরা পড়েছে গড়াই নদীর সেই কুমির

অবশেষে ধরা পড়েছে গড়াই নদীর সেই কুমির

প্রায় দুই মাস ধরে ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে একাধিক কুমিরের দেখা মেলায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সুবিদ্দা গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়িতে কুমিরটি যাচ্ছিল। এ সময় গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে মাছ ধরার জাল দিয়ে কুমিরটি ধরে ফেলে। খবর পেয়ে ওই এলাকাসহ আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ কুমিরটি দেখার জন্য ভিড় করে। এছাড়া ভ্যানে করে নিয়ে এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কুমিরটি গড়াই নদী থেকে প্রায় ৪০০ ফুট দূরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খিলাফত মিয়ার বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পাতার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা কুমিরটি দেখতে পায়। পরে মাছ ধরার জাল দিয়ে কুমিরটিকে ঘিরে ধরে ফেলে। কুমিরটি ধরা পড়ার পর এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করে এবং এটি দেখার জন্য কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমায়। ইনসান আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা কুমির আতঙ্কে ছিল।

ধরা পড়া কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট। তবে এটি পুরুষ না নারী, তা জানা সম্ভব হয়নি। আরও অন্তত দুটি কুমির থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। শৈলকুপা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান জানান, কুমিরটি এলাকাবাসী প্রথমে খুলুমবাড়িয়া স্কুল মাঠে রাখে। পরে থানায় নিয়ে আসে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা কুমিরটির নিরাপত্তার জন্য থানায় অবস্থান করছেন।

তিনি জানান, এটি একটি মা কুমির এবং ধারণা করা হচ্ছে, তার পেটে ডিম রয়েছে। ডিম পাড়ার জন্যই হয়তো এটি ডাঙায় উঠে এসেছিল। শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, কুমিরটি আটক হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পাঠানো হয়। কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হওয়ায় কুমিরটির নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় বন কর্মকর্তারা থানায় উপস্থিত হয়েছেন। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস জানান, খুলনা বন বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা কুমিরটি নিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত