ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

ভোলার তজুমদ্দিনে নড়বড়ে কাঠের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন তিনটি ওয়ার্ডের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের বেতুয়া খালের ওপর গত তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় ওই সেতুটি। বর্তমানে সেতুর বিভিন্নস্থান দিয়ে পাটাতন ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় আসা-যাওয়া করছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাঠের সেতুটি। এটি ২০২২ সালে উপজেলা পরিষদ ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে মেরামতের অভাবে সেতুটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। প্রায় ৯০ ফুট দীর্ঘ ও পাঁচ ফুট চওড়া কাঠের সেতুটি পাটাতনের দুই পাশসহ ভেঙে গেছে রেলিংগুলো। সেতুর খুঁটি হিসেবে বাঁশ, কাঠ এবং ওপরে কাঠের পাটাতন দেয়া হয়। দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে কাঠের পাটাতন পঁচন ধরার পাশাপাশি কিছু কাঠের খুঁটি হেলে এবং ভেঙে রয়েছে। খালটির চারপাশে ঘর বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি থাকায় সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ হওয়ায় গাড়ি আসা-যাওয়া করতে না পারায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ মূল্যও পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তাজল, ইয়ানুর, সুমা এবং নোমানসহ কয়েকজন বলেন, ভাঙা সেতুটি দিয়ে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত এবং ছেলে-মেয়েদের স্কুল-মাদরাসায় পাঠাতে হয়। বর্ষার মৌসুমে কাঠের সেতুর ওপরও পানি থাকে, তখন ঘরবন্দি হয়ে থাকি, খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুর পাটাতনের কাঠগুলো ভেঙে গেছে। এর ফলে চরম বিপাকে রয়েছেন আশেপাশের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। তাই এখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করছি। শম্ভুপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বলেন, কাঠের সেতুটি ৩ বছর আগে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ওই কাঠের সেতুটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন। উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী এলজিইডি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, সেতুর প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত