পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) নামে এক বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার এ ঘটনা ঘটে। এর দু-দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে গত রোববার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের মাহবুবের বাগান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত আব্দুল হালিম মোল্লা উপজেলার পাড়াগ্রাম বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে গত শনিবার বিকালে উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামের মিজানুর রহমান, শান্ত, লালটু, মজিবর ও আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল হালিম। পরে ওইদিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার জিহ্বা কেটে মাহবুবের বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, এটি একটি নির্মম ঘটনা। বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই দিন পর তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে মারা যান। যতটুকু জানতে পেরেছি ধারের টাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার পর অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অর্থ লেনদেনের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।