‘বাংলাদেশ একটি অসম্প্রদায়িক দেশ। কিন্তু এখানে ব্যক্তিগত সমস্যাকে অসাধু চক্র রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যায় রুপ দিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে। তবে এখন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সবসময় ধর্মীয় বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক। আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য বিশেষ করে মসজিদের ইমামণ্ডখতিব ও পুরোহীত সহধর্মীয় নেতাদের ভুমিকা রাখতে হবে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে সচেতন ও সোচ্চার থাকতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার ফেনীতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব কথা বলেন। ফেনী পৌরসভা মিলনায়তনে ‘সংঘাত নয়, শান্তি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পিস ফ্যাসিলিলেটর গ্রুপ (পিএফজি)। সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক ফেনীর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফেনী পৌর প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাঈদুর রহমান ও ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা।
পিএফজির সদর উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মোর্শেদ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মলয় কান্তি চক্রবর্তী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফেনীর উপপরিচালক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, জামায়াতের আমীর মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মোজাফফর আহমেদ, ফেনী বড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আব্দুল্লাহ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম আবদুর রহীম, ডিবিসির জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, যমুনা টিভি প্রতিনিধি আরএম আরিফুর রহমান, খ্রিস্টান ধর্মের পালক সুবীর সরকার, বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিনিধি স্মৃতিরত্ন ভিক্ষু, হিন্দু ধর্মের পুরোহিত নারায়ন চক্রবর্তী ও নারী উদ্যোক্তা কামরুন নেছা মনি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা একরামুল হক ভূঞা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিএফজি এরিয়া কো-অর্ডিনেটর রাসেল আহমেদ ও ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ নাছির উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ও ধর্মীয় এবং সামাজিক নেতারা।
