ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষে লাভবান

বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষে লাভবান

বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা জাকিরুল ইসলাম সবজি চাষ করে অভাব দূর করে ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি বেছে নিয়েছেন সবজি চাষকে। বর্তমানে তিনি ১১ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করছেন। জাকিরুলের সবজি বাগানে রয়েছে করলার মাচা, যেখানে ঝুলছে সারি সারি করলা। এছাড়া তার জমিতে চাষ হচ্ছে তরমুজ, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, কাঁচামরিচ, পটলসহ নানা জাতের সবজি। গত ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে তিনি করলা উত্তোলন শুরু করেন এবং প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ মণ করলা বাজারজাত করছেন। প্রতিমণ করলা ১,৬০০ টাকা দরে বিক্রি করে তার উল্লেখযোগ্য আয় হচ্ছে। সবজি আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকরা জানান, জাকিরুলের বাগানে কাজ করে তারা পরিবার চালাতে পারছেন স্বচ্ছলভাবে।

শুরুতে ডেকোরেটর ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন জাকিরুল। কিন্তু করোনাকালে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে ইউটিউব দেখে কৃষির কৌশল শিখে নেন এবং সবজি চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি অন্যের জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করছেন।

তিনি বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে আমি সবজি চাষাবাদ করছি। এতে আমি সফলতার মুখ দেখছি। প্রথমে মালচিং এবং মাচা তৈরি করতে একটু খরচ বেশি হলেও একবারের মালচিং থেকে আমি তিনটি করে ফসল ফলাচ্ছি এবং একই মাচায় এক জাতের ফসল শেষ হলে অন্য জাতের ফসল আবারো শুরু করছি। ফলে প্রথম ফসলেই আমার খরচের টাকা মোটামুটি উঠে আসবে। পরবর্তী ফসলগুলোতে আমার মুনাফা ঘরে আসবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ জানান, এলাকার শিক্ষিত তরুণরা দিন দিন কৃষিকাজে যুক্ত হচ্ছেন। তারা নিজের জীবিকা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের কৃষি অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে যদি বিভিন্ন ফসলাদি চাষ করেন তাহলে আমাদের দেশে বেকার যুবকের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকবে। অপরদিকে বাজারে সবজির চাহিদাও পূরণ হবে এবং দামও সহনীয় থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত