রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রবাসী আল আমিন (২৩) হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি মেগা সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেগা সরদার পাবনা জেলার আমিনপুর থানার ধাড়াই গ্রামের মৃত মোন্তাজ সরদারের ছেলে। গত শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় এসআই মো. মাহাবুল করিম ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি মেগা সরদারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মেগা সরদারকে গতকাল রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের রামনারায়নপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আল আমিন গত প্রায় ৭ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মরত থাকার পর চার মাস আগে দেশে আসেন। ১৫-১৬ দিন আগে স্থানীয় শাহ আলী তার কাছে চা-টা খাওয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় মোবাইলে আল আমিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। গত শুক্রবার দুপুরে আল আমিন তার মামা লিটন ও বোন আকলিমাকে নিয়ে ঢালারচরে মেয়েকে দেখতে যান। খাওয়া-দাওয়ার পর ফুফাতো ভগ্নিপতি মেগা সরদারকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিন মোটরসাইকেলযোগে গোয়ালন্দের রাখালগাছি বাজারের দিকে রওনা দেন। পথে রাখালগাছি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শাহ আলী, রবিউল, ঠান্ডু, জুয়েল ফকির, সেলিমসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি চারটি মোটরসাইকেলে এসে আল আমিনের পথরোধ করে। এ সময় তারা আল আমিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। প্রাণে বাঁচতে আল আমিন পাশের পদ্মার শাখা নদীতে ঝাঁপ দেন, তবে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন। ঘটনার পর খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও কাজিরহাট নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্পিডবোট ও ডুবুরি নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন শনিবার দুপুরে রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশে নদী থেকে আল আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার রাতেই নিহতের মামা লিটন গাজী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন।